চিঠি=বাঁশ (৩য় পর্ব)



রাইসা এবং তিশা ২ জনেই আমার দিকে তাকিয়ে আছে। আর আমি একবার রাইসার দিকে তাকাই আবার তিশার দিকে তাকাই। আর মনে মনে ভাবতেছিলাম, আল্লাহ তুমি আমারে এ কোন প্যাচে ফেলে দিলা। কি অন্যায় করছিলাম আমি?  আমার সাথেই এইরকম কেন হয় আল্লাহ,  কেন?
.
তিশা কি ভাবলো কে জানে, হঠাত বলে উঠলো,
- ভাইয়া আপনার নাম কি?
- এ্যা,  কি? (নিজের কানকে বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। তাই আবার জিজ্ঞাসা করলাম)
- আপনার নাম কি ভাইয়া?
- অনিক
.
এবার মনে মনে ভাবতে লাগলাম, আল্লাহ এগুলা শোনার আগে তুমি আমারে উঠাইয়া নিলা না কেন?  আমারে উঠাইয়া নাও আল্লাহ আমারে উঠাইয়া নাও। এইগুলা মনে মনে বলতে বলতেই হঠাত মনে হল, কেউ আমার পশ্চাদদেশে সজোরে আঘাত করলো। আমি কিছুটা দূরে ছিটকে গিয়ে পরলাম। এর পর আর কিছু মনে নাই।
.
চোখ খুলেই মনে হল আমি কোথাও শুয়ে আছি, আর কেউ আমাকে ভয়ংকর চোখে ভাল করে দেখছেন। এটা দেখেই দিলাম এক চিৎকার।  (আসলে চোরের মন পুলিশ পুলিশ। ভাবছি রাইসাই মনে হয় আমারে  কিডন্যাপ করাইছে)
.
ভয়ংকর সেই লোকটা হঠাত বলে উঠলো, "নার্স, একটা ঘুমের ইঞ্জেকশন নিয়ে আসেন তো"। আমি বুঝে গেলাম এটা একটা ডাক্তার। অন্যদিকে, ইঞ্জেকশনের নাম শুনলেই আমার জ্বর চলে আসে। তাই তাড়াতাড়ি  বললাম,
- না না। ইঞ্জেকশন লাগবে না। আমি এমনিই চুপ করেছি। প্লিজ প্লিজ প্লিজ।
- ঠিক তো? (ডাক্তার)
- হ্যা (ভয়ে ভয়ে)
- এখন কেমন ফিল করছো?  (ডাক্তার একটু মুচকি হেসে জিজ্ঞাসা করলেন)
- হ্যা। ভাল।
- কোন সমস্যা হচ্ছে না তো যেমন, মাথা ব্যাথা, পেট ব্যাথা, শরীরে কোথাও ব্যাথা?
- না। আমি ঠিক আছি।
- তাহলে একটু রেস্ট নাও। একটু পরেই বাসায় যেতে পারবা।
.
ডাক্তার চলে গেলে সবার দিকে তাকিয়ে দেখে নিলাম। দেখলাম এখানে আছে, রাইসা, তিশা আর আদিল। এ্যা, আদিল!!!!  হঠাত মাথায় আসলো,  এই হ্লা ভিলেন কি করে এইখানে?  ভাবতে ভাবতে জিজ্ঞাসাই করে বসলাম,
- কি ব্যাপার ভাই আদিল, তুমি এখানে কি করো?
- আসলে আমার জন্যেই তুমি এইখানে।
- মানে?
- হুইলি দিতে যেয়ে আমার সাইকেলের চাকা তোমার পশ্চাদদেশে আঘাত করে, ফলে তুমি অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিলে। কে জানতো যে তুমি মেয়েদের এত দুর্বল। একটু থেকে একটু হইলেই অজ্ঞান হয়ে যাও। আর তাছাড়াও তখন আমার সাইকেলের ব্রেক কাজ করছিল না। I am really sorry for that.
.
হ্লায় সরি কইলো না আমার দুর্নাম করলো নাকি কোন বিষয়ে বক্তৃতা দিলো তাই বুঝলাম না। কিন্তু ওর মুখের কোনের ভিলেন মার্কা হাসি দেখে বুঝে গিয়েছিলাম যে ও এগুলা ইচ্ছা করেই করেছে। আর সবার সামনে আমার মান-সম্মান ডুবানোর জন্যই এত্ত সুন্দর করে বক্তৃতা দিলো। মনে মনেই বলতে থাকলাম, "হ্লা, আমার যায়গায় ওইসময় তুই থাকলে তোরে একখান মশায় কামর দিলেও তুই অজ্ঞান হইয়া যাইতি। আমার তো তাও সাইকের ধক্কা লাগছে।" এরপর চোখ গেল, তিশার দিকে। দেখেই বুঝলাম পাগলিটা অনেক কান্না করেছে। তাই জিজ্ঞাসা করলাম,
- তিশা তুমি কান্না করেছো?
- কই না তো।  কেন?
- এমনি। তোমাকে দেখে তো এটাই মনে হচ্ছে।
- আরে নাহ। আসলে এখানে অনেক্ষন আছি তো। আর একটু ভয়ও পেয়েছিলাম। তাই এরকম মনে হচ্ছে হয়তো।
- ওহ
.
যদিও আমি স্পষ্ট বুঝতে পারছিলাম। ও অনেক্ষন কান্না করেছে। কিন্তু সবার সামনে আর কিছু বললাম না। এখন হঠাত দেখি রাইসা আমার দিকে গভীর সন্দেহের দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। হঠাত,
- আচ্ছা, তুমি ওর নাম কিভাবে জানো?
- আসলে, মানে-এ-এ.... মনে পরছে। ওইযে মনে নাই। তুমিই তো ওর নাম ধরে ডাকছিলা। মনে নাই?
- ওহ। (দেখে মনে হল না যে সন্দেহ কেটে গেছে)
.
এর পরেই তিশা কেবিন থেকে বের হয়ে গেল।
- ভালো কথা, কান্না করার কথা আমার তুমি কেন তিশাকে জিজ্ঞাসা করলা, আমাকে না জিজ্ঞাসা করে? (যদিও ওর চেহারায় দুঃখের কোন ছাপ নাই। মনেই হচ্ছে না যে, আমার এই অবস্থার জন্য ওর কিছু আসে যায়)
.
এইবার পরলাম আসল চিপায়। কি উত্তর দিবো? বেশ কয়েক সেকেন্ড ভেবে বললাম,
- আরে বোকা নাকি তুমি?
- ওর চেহারা দেখেই তো মনে হচ্ছিল যে ভয় পাইছে অনেক। আর ও তো ছোট মানুষ। তাই কান্না করাটা স্বাভাবিক। তুমি তো বড়। তাই না?
- ও ছোট?
- তা না হলে আর কি?  ওর ওই বয়সে তো আমি ফিডার খাইতাম। (দাঁত সব বের করে হেসে হেসে বললাম)
- তুমি জানো ও কিসে পড়ে?  (তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে)
- হ্যা, জানব না-না-না। না মানে, জানবো কিভাবে?  হয়তো 3-4 এ পড়ে। (আল্লাহ্য় বাঁচাইছে। আর একটু হলেই তো বলে দিতাম যে ৯ এ পড়ে। আর আমি ফেঁসে যেতাম)
- ও 9 এ পড়ে। আর গার্লস স্কুলে ক্লাস 3-4 কবে ছিল?  (দাঁত খিটমিট করে বলল)
- ও গার্লস স্কুলে পড়ে!!! (অবাক হওয়ার ভান করলাম)
- নাহ। স্কুল ড্রেস তো বয়েজ স্কুলের।
- ওহ। আগে বলবা তো। এইটা গার্লস স্কুলের ড্রেস?  (দাঁত সব বের করে হেসে হেসে)
- নাহ। এইটা তো প্রাইমারি স্কুলের ড্রেস।
- আমিও তাই ভাবছিলাম।
- সাটআপ (রেগে)
.
এবার ও বাইরে চলে গেল। আমি মনে মনে বলতে থাকলাম, এবারের মত তো বেঁচেই গেলাম। কিন্তু, আমি আল্লাহকে বলছিলাম আমারে উঠাইয়া নিতে তাই বলে সত্যি সত্যিই নিয়ে যাচ্ছিলো।  এইডা কিছু হইলো?  সব সময় আমার সাথেই কেন এমন হয়?
.
.
একটু পর বাসায় চলে এলাম। আজ আসতে অন্যদিনের চেয়ে একটু দেড়ি হল। মোটামুটি ২ টা বেজে গেল। কিন্তু আম্মু কিছুই বুঝতে পারে নাই। বাসায় এসে, বুঝলাম নামাজ ছাড়া উপায় নাই। যে প্যাচে পরছি এর থেকে একমাত্র আল্লাহই বাঁচাইতে পারবে। তাই আজ থেকেই ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়া শুরু করে দিলাম। পরের দিন ছিল শুক্রবার। তাই ভালই হল, ছুটিও পেলাম, রেস্টের টাইম + আল্লাকে ডাকার একটু টাইমও পেলাম। ওইদিন বিকালে তিশাকে কল দিলাম,
- হ্যালো
- কেমন আছেন?
- ভালো। তুমি?
- আমিও ভালো আছি।
- রাইসা তোমার কোন জন্মের বোন?
- আমার আপন বোন। (একটু শক্ত করে বলল)
- তোমরা সেই জল্লাদ বোন? 
- হুম।
- তোমার বোনের নাম না জুয়াইরিয়া?
- সম্পুর্ন নাম জুয়াইরিয়া রাইসা। 😒😒
- আগে বলবা না। আমি তো আগে থেকেই তোমার বোনকে চিনি।
- একটা সত্যি কথা বলবেন?
- বলো।
- সত্যিই কি আপুর সাথে আপনার রিলেশন আছে?
- না না। পুরাই মিথ্যা কথা। আমার কি মনে হয় জনো? মনে হয়, তোমাকে আর আমাকে পরীক্ষা করার জন্য বলেছিল। এটা বলে দেখলো যে আমাদের রিএ্যাকশন কি হয়।
- হুম। আমারও তাই মনে হয়। কিন্তু তাহলে আপনি তখন কিছু বলেন নাই কেন?
- আসলে মানে-এ-এ..  মানে, আমিও ভয় পেয়ে গেছিলাম। তাই বলতে পারছিলাম না। কেমন সব গুলিয়ে যাচ্ছিল। বিশ্বাস করো, আমি নিজের জন্য একটুও চিন্তা করছিলাম না। আমি শুধু তোমার চিন্তাই করছিলাম ওই সময়।
- আমি জানি।
- কি জানো তুমি? (ভয়ে ভয়ে)
- আমি জানি, আপনি আমাকে অনেক ভালোবাসেন।
- হ্যা হ্যা। তা তো অবশ্যই। আমি জানি আমার জান আমাকে কখনো ভুল বুঝতেই পারে না। (আল্লাহ এই যাত্রায়ও তো বাঁচাইয়া দিলা।)
- জানেন আমার না অনেক টেনশন হচ্ছে?
- কেন?
- আপু যে মানুষ। ও মনে হয় সন্দেহ করেছে কিছু একটা। নাহলে, এত সহজে আপনাকে বিএফ বলে পরিচয় দিত না।
.
মনে লাড্ডু ফুটলো আমার। এই তো সুযোগ। সুযোগ টা কাজে লাগানো দরকার।
.
- হ্যা আমারও তাই মনে হয়। আমার আরো মনে হয়, তোমার আপু এখন থেকে তোমার সামনে আমার সাথে তার বিএফের মত আচরন করবে। আর তোমাকে বলবে, আমিই ওর বিএফ। আর একটু আগে তো ও আমাকে বলেও দিয়েছে যে, ও তোমার সামনে আমার সাথে অভিনয় করবে। সাথে আমার ফ্রেন্ডদের দিয়েও তোমাকে বলাবে যে, ও ই আমার জিএফ। তুমি ওইগুলা কিচ্ছু কানে দিবা না। আমাকেও ওর সাথে অভিনয় করতে হবে। তা না হলে তোমাকে  সন্দেহ  করবে। আর তুমি কিন্তু এগুলা কাউকে বলো না। কাউকেই না।
- হুম ঠিক বলছেন। আমি মনে মনে ঠিক এগুলাই ভাবছিলাম। আর ওইসময় ভাইয়া বলার জন্য সরি।
- আরে না না, বেপার না। ভাই বললেই কি, ভাই হয়ে গেলাম নাকি?
- হুম। সেটাই। তাহলে এর পর থেকে আপুর সামনে আপনাকে ভাইয়াই বলবো। ঠিক আছে?
- ওকে (হতাস ভাবে বললাম।)
.
এভাবে আরো ভালোভাবে ওর ব্রেইন ওয়াশ করে দিলাম। আর কি লাগে। আমার পথ আপাতত ক্লিয়ার। এত সরল মেয়ে হয়, ভাবতেই অবাক লাগে। যাই হোক, এখন ওকে এই মিথ্যা বলা ছাড়া আমার আর কিছুই করার ছিল না।
.
এরপর রাতেই বুঝতে পারছিলাম যে, আমার পশ্চাতদেশ চরম ব্যাথা হয়ে আছে। কিন্তু কি আর করার নামাজ তো আর বাদ দেওয়া যায় না।
এভাবেই গেল ১ দিন। শুক্রবার রাতে হঠাত আম্মু আমার রুমে এসে আমাকে বলল,
- কিরে, সামনে কি তোর কোন পরীক্ষা?
- না।
- কোন পরীক্ষার রেজাল্ট দিবে?
- না। কেন?
- লটারি কিনছিস নাকি?
- না-আ-আ-আ। কিন্তু কি হইছে?
- নাহ, আসলে আগে কোনদিন শুক্রবারের জুম্মার নামাজ ছাড়া নামাজ পড়া তো দেখি নাই তো, তাই আর কি।
- ওহ। আম্মু। নামাজ পড়লেও দোষ, না পড়লেও দোষ।
.
আম্মু হাসতে হাসতে চলে গেল। মনে মনে, বলতে লগলাম, নামাজ ছাড়া আর আমার কোন উপায় নাই। উপায় নাই।
.
পরেরদিন কলেজে যেয়েই একটু অবাক হয়ে গেলাম। কারন যেই আমকে দেখতেছে, সে একটু হেসে আমাকে জিজ্ঞাসা করছে, "কি ব্যাপার,  কেমন আছো?".......  আমি অবাক। সবাই এমন অদ্ভুত আচরন করছে কেন আমার সাথে?
.
একটু পরেই শান্ত আইছে লাফাইতে লাফাইতে এসে বলে, "কিরে ভাবি নাকি তোর পা*য় লাত্থি মারতে মারতে ব্যাথা বানাইয়া দিছে, তাও আবার অন্য মেয়ের সাথে ঘুরতে দেইখা?" 
আমি আকাশ থেকে পরলাম,
- কিহ!!!!!!
- হ
- কোন হ্লায় কইছে?
- আদিল আর মিনহাজ। সারা কলেজের সবাই জানে এই কাহিনী।
- তার মানে যা ভাবছিলাম। ঠিক তাই। সব ওরা প্লান করেই করছে।
- তার মানে কাহিনী সত্যি!!!!!!
- হুর হ্লা।
.
পরে পুরা ঘটনা বললাম ওরে। আসলে,  আদিল আর মিনহাজ ২ জনই শায়লারে পছন্দ করতো। আমি ওদেরকে সুন্দর সুন্দর কিছু বাঁশ দিয়া শায়লার কাছে ওদেরকে খারাপ বানাইয়া দিলাম। আর কি লাগে। শায়লা হয়ে গেল শান্তর জিএফ। তাই হয়তো ২ হ্লায় এক হয়ে আমার ওপর প্রতিশোধ নিচ্ছে। কিন্তু এখন তো কলেজে মুখ দেখানোই কষ্ট হয়ে গেল। দিনটা এইভাবেই খারাপ কাটলো। কলেজ শেষে গেলাম তাওহীদের বাসায়। ভাবলাম দেখি ওর সাথে একটু আলাপ করে দেখি কি হয়।
.
ওর বাসায় যেয়ে ওকে বললাম,
- যা আমার জন্যে কিছু নাস্তা নিয়ে আয়।
- হ্লা আমার। যা ভাগ।
- আন্টি, ও আন্টি
- ভাই ভাই ভাই, কোন্ড ড্রিনক্সও আনবো?
- আচ্ছা, এতই যখন বলছিস তাইলে, একখান পেপ্সিও আনিস।
.
তাওহীদ যাওয়ার পর ওর মোবাইল দেখে একটা আজাইরা বুদ্ধি মাথায় আসলো। ওর মোবাইল দিয়ে ইমাকে একটা মিসকল দিলাম।
.
প্রায় সাথে সাথেই কল দিলো ইমা। আমি রিসিভ করলাম,
- হ্যালো জানু (আমি)
- রাখ তোর জানু জানু। মিসকল দিয়া জানু জানু করিস। লজ্জা করে না তোর? (মনে হয় কন্ঠ বোঝে নাই।)
- টাকা ছিল না জানু। তাই তো দিলাম। তোমার সাথে খুব কথা বলতে ইচ্ছা করছিল। তুমি ছাড়া আর আমার কে আছে বলো?
- ঢং বাদ দাও। কি হইছে বলো।
- কেমন আছো তুমি?
- ভাল। তুমি কেমন আছো?
- ভাল। আচ্ছা তোমাদের ক্লাসে সোমা আর মিলা নামে ২ টা মেয়ে আছে না। চিনো ওদেরকে?
- হ্যা। কিন্তু তুমি ওদের কথা কেন জিজ্ঞাসা করছো?  ( গভীর সন্দেহের চোখে)
- ভুল বুইঝো না জানু। ওদের সাথে আমাদের ক্লাসের আদিল আর মিনহাজের রিলেশন আছে। তুমি ওদের রিলেশনের একটা প্রমান যোগার করে দিতে পারবা। প্লিজ জানু। প্লিজ।
- আচ্ছা, সেটা পরে দেখা যাবে।
- আচ্ছা জানু রাখি, আমার দোস্ত অনিক আসছে মনে হয়।
- তোমার ওই হারামি মার্কা ফ্রেন্ড আবার আসছে তোমার বাসায়। ওকে ঘার ধাক্কা দিয়ে বের করে দাও। আর ওর জন্য বাঁশ রেডি করছো?
.
মেজাজ টাই খারাপ হয়ে গেল। কিছু কইলাম না। কারন ওদের ২ টারেই আমার দরকার। এর ঝাল পরে তুলবো।
.
- নাহ। এখনো বাঁশ খুজে পাই নাই। যাই ওকে বের করে দিয়ে আসি। বাই
.
এটা বলেই কল কেটে দিলাম। তারপর ভাবতে লাগলাম, তাওহীদ হ্লায় তাইলে ওর জিএফের কাছে আমার নামে এত্ত সুনাম করে।  😒😒
ওদের দিয়ে বিশ্বাস নাই। থাক রাইসা আর তিশার ব্যাপার নিয়ে এখন ওর সাথে আলাপ করা ঠিক হবে না। যে কোন সময় বাঁশ দিতে পারে।
.
তাওহীদ নাস্তা নিয়ে হাজির। আমি নাস্তা করে বললাম,
- দোস্ত, তোর জিএফ আদিল এর বর্তমান জিএফ (মিলা) আর মিনহাজের বর্তমান জিএফ (সোমা) সহ ওদের রিলেশনের প্রমান দিবে তোর কাছে। ওইগুলা ভদ্রভাবে আমারে দিস। আর এখন কোন প্রশ্ন করবি না, যে কিভাবে,  কেন, নাইলে আন্টি তো আছেই।
- ওকে 😖😖
- তাইলে দোস্ত থাক তুই। আমি যাই। ভাল থাকিস।
.
(চলবে)

Comments

Popular posts from this blog

একটি ছ্যাকা খাওয়ার গল্প

চিঠি=বাঁশ (২য় পর্ব)

ব্রেকআপ অনু (পর্ব-১)