Posts

Showing posts from 2018

নীল চোখ (৪র্থ পর্ব) [শেষ পর্ব]

Image
কল কেটে গেল। আমি বাকরুদ্ধ হয়ে থাকলাম। সব আনন্দ সব স্বপ্ন এক নিমিষেই নাই হয়ে গেল। এরকম কিছু কখনই আশা করিনি আমি। অন্তত ১০ মিনিট এভাবেই বসে আছি। এরপর চিন্তা করলাম, ও ভাল থাকলেই আমি ভাল থাকবো। ও যা চায় তাই ই হবে। তবুও লাস্টবার কথা বলতে চাই। কল দিলাম। কিন্তু নাম্বার বন্ধ। সারারাত একটুও ঘুম হয়নি। জেগেই আছি। সকাল ১০ টা, আম্মু এসে ডাক দিল, - অনিক, দেখ ১২ টা বাজে ওঠ এবার। - উঠছি - বিয়ে নিয়ে কি ভাবলি? - আমি বিয়েতে রাজি। আপনারা দিনতারিখ ঠিক করেন। আর ডেট টা যত আগে দেওয়া যায় ততই ভাল। । এটা বলে রুম থেকে বের হয়ে গেলাম। ভাবতে লাগলাম, আমাকে রিল্যাক্স হতে হবে। যেভাবেই হোক নরমাল হতে হবে। । মোটামুটি ৪ দিন লাগলো নরমাল হতে। এর মাঝে মোবাইল সম্পূর্ণ অফ রাখলাম। ৫ম দিন মোবাইল অন করলাম। কিছুক্ষণ পর একটা আননন নাম্বার থেকে কল। - হ্যালো - কেমন আছেন? - কে? আমি ঠিক চিনতে পারলাম না। - আমি আপনার হবু বউ। - ওহ। আপনি। হ্যা, ভাল আছি। আপনি? - আমিও ভাল আছি। এখন থেকে আপনি করে না বললেও হবে। আপনি আমাকে তুমি করে বললেই আমি বেশি খুশি হব। - আচ্ছা ঠিক আছে। - আর মনে হচ্ছে আপনি বিয়েতে একটু বেশিই আগ্রহী। - কেন...

নীল চোখ (৩য় পর্ব)

Image
 - পারবো। (বড় রকমের একটা ধাক্কা খেলাম। আসলে এরকম শর্ত দেওয়ার কারন কি হতে পারে? এসব নিয়ে হাজারও প্রশ্ন মাথায় ঘুরছিল। তবুও না করতে পারলাম না। হয়ত আসলেই অনেক ভালবাসি।) - পারবো বলে গাধার মত দাঁড়িয়েই থাকবেন, নাকি প্রপোজও করবেন? - করলাম তো (বোকার মত) - এইভাবে কাউকে প্রপোজ করে? মুভি দেখেন না? 😡 - ইয়ে মানে, টাইম পাই না তো। আগে কিছু মুভি দেখেছিলাম। তবে একটা মুভির প্রপোজের কাহিনীই মনে আছে। তবে সেখানে নায়ক তো নায়িকাকে ভালোবাসার প্রপোজ করে নাই, করেছিল সরাসরি কিস এর প্রপোজ।  🙈🙊 - আপনাকে দিয়ে হবে না। আপনি মুড়ি খান। - না। আমি এহসান খান 😁 - 😑 । রাস্তার পাশে একটা ঘাস ফুল দেখতে পেলাম। সেটা তুলে নিয়েই প্রপোজ করে ফেললাম। একদম মুভির স্টাইলে এক হাটু ভেঙে প্রপোজ করেছিলাম। দেখেই মনে হচ্ছি ও অনেক খুশি। এরপর আমি বললাম, - আচ্ছা আপনার নামটা কি? - প্রপোজের আগে যতক্ষণ জিজ্ঞাসা করেননি তাই এখন আর বলবো না। আর হ্যা, আপনি করে না বলে তুমি করে বললেই আমি বেশি খুশি হব। কারন আপনি আমার থেকে অনেক বড়। - তাহলে আমি ডাকবো কি নামে? 😲 - নিজে একটা নাম রেখে নিন। - হা হা হা। অনেক ফান হইছে। এবার নাম বলো। - বলবো না। ব...

নীল চোখ (২য় পর্ব)

Image
এবার আর উপায় না পেয়ে ঠিক ওই রাস্তায় চলে গেলাম যেখানে আমার এক্সিডেন্ট হয়েছিল। সারাদিন দাঁড়িয়ে রইলাম। দেখা পেলাম না। পরেরদিন আবার গেলাম। সারাদিন অপেক্ষা করলাম, দেখা পেলাম না। এভাবে ৯ দিন যাওয়ার পর ঠিক একই টাইমে মেয়েটার দেখা পেয়ে গেলাম। মনের মাঝে লুঙ্গি ডান্স শুরু হয়ে গেল। । মেয়েটা আসছে। সেই মায়াবী নীল দুটি চোখ তার। আমার সামনে দিয়ে চলে গেল। আমি কথা বলতে চেয়েছিলাম তবে সাহস হল না। অবশ্য ফলোও করতে চেয়েছিলাম। তবে এমন কখনো করা হয়নি বলে নতুন করে আর এই দুঃসাহস করলাম না। । মনের আনন্দে বাসায় চলে আসলাম। বিকালে সব ফ্রেন্ড আড্ডা দিচ্ছিলাম হঠাত এই ঘটনা বললাম সবাইকে। তখন রাইসা বলে উঠল, রাইসা - মামা, তুই কি মেয়েটারে দেখছিস? আমি - হ মামা। রাইসা - কেমন দেখতে? আমি - চোখ ২ টা নীল। লম্বা ৫ ফুট ২ ইঞ্চির আশেপাশে হবে। আর বোরকা পরে আসে। কালো বোরকা। কিন্তু তাও এত জোস লাগে দেখতে। রাইসা - ব্যাটা তোরে জিজ্ঞাসা করলাম কি আর উত্তর দিলি কি। চেহারা দেখছিস? 😒 আমি - আরে নাহ। ও তো বোরকা পরে আসে। রাইসা - হইতে পারে ওইটা আন্টি। আমি - না না। হতেই পারে না। চোখ দেখে অত বয়স তো মনে না রাইসা - বাহ। ভালই তো। তুই জ্যোতিষ হয়ে যা।...

নীল চোখ (১ম পর্ব)

Image
"আজ ২ মাস হল। প্রতিদিনই সেই রাসায় যেয়ে দাঁড়াই তবে এখন আর নীলাকে দেখা যায় না। কলেজে আসে না। নাম্বারও বন্ধ। ওর সাথে গত ২ মাস কোন যোগাযোগ নেই। ও কেমন আছে, কি হয়েছে কিছুই জানা নেই আমার। ওর বাড়িও চিনি না। আর ওর কোন ফ্রেন্ডও পরিচিতি নেই। যোগাযোগ বা খোজ নেওয়ার কোন উপায় নেই। বলতে গেলে বড় রকমের ডিপ্রেশনের মাঝে আছি।" - এইটুকু লেখার পর আর ইচ্ছা করছে না লিখতে। কারন ডায়েরী লেখার অভ্যাস আমার একেবারেই নাই। এর থেকে বোরিং যেন আমার কাছে আর কিছুই নাই। তাও লোকজন এত টাইম নষ্ট করে কিভাবে যে ডায়েরী লেখে বুঝি না। যাই হোক, আমাকে দিয়ে এর বেশি আর লেখা সম্ভব না। । ডায়েরী বন্ধ করে উঠতে না উঠতেই আম্মু-আব্বু আর আপু একসাথে এসে হাজির। ৩ জনকে একসাথে দেখেই বুঝেছি কিছু তো একটা বিষয় অবশ্যই আছে। এবার আম্মু বলা শুরু করলো, আম্মু - আমরা ভেবে দেখলাম তুই তো অনেক বড়ই হয়ে গেছিস। আর ভাল চাকরীও করিস। তাই এখন আর দেরি করাটা উচিৎ হবে না। আমরা অনেকগুলো মেয়ে দেখেছি। এর মাঝে একটা মেয়েকে খুবই ভাল লেগেছে। তাই যদি তোর কেউ পছন্দ থাকে তাহলে তার সাথে আমাদের আলাপ করিয়ে দে নাইলে আমরা যাকে পছন্দ করছি তাকে বিয়ে করে নে। আমি - উফফ!! আম...

একটি ছ্যাকা খাওয়ার গল্প

Image
- বুঝছো অনিক, আমার তো এটাও ব্রেকাপ হয়ে গেল। এখন কি করি কও তো? আরেকটার ব্যবস্থা না করলে আর হচ্ছে না। - এটা আপনার কত নাম্বার ছিল? - ৫৮ নাম্বার মনে হয়। - আপনার তো লজ্জা করা উচিত। ৫৮ নাম্বার ব্রেকাপের পরও আরো চাই! আরে ভাই, আমার মত ছোট ভাই গুলার জন্যও দুইএকটা পিওর মেয়ে রাখেন না। নাইলে আমরা কি চাঁদে যামু বিয়া করার সময়? - আরেহ পাইয়া যাবা। আমার একটা ব্যবস্থা করে দাও। - আমারে দেখে কি আপনার মনে হয় আমি পাগল? - ভালো কথা এখন তো আমার আবার আরেকজনের সাথে দেখা করার কথা। থাকো, আমি যাই। - কার সাথে দেখা করার কথা? - তোমার ভাবি। - কি!!! আপনার না ব্রেকাপ হয়ে গেল? - আরে, বোঝো না কেন। ব্যাকআপ রাখা লাগে। এটা ব্যাকআপ হিসাবে রাখছিলাম এখন কাজে আসতেছে। । এতক্ষন আমার আর সৌরভ ভাইয়ার মধ্যে কথোপকথন চলছিল। ইনি এমনই একজন মানুষ যার কথা বলে শেষ করা যাবে না। এনার একটা দিকে বিশেষ ক্ষমত আছে। সেটা হল মেয়ে পটানোয়। মনে হয় না রাজবাড়িতে এখনো কোন সুন্দরী মেয়ে আছে যার সাথে ওনার রিলেশন ছিল না। এমনি এমনি তো আর ৫৮ নাম্বারে যায় নাই। আর আমিও একজন মানুষ, যে কিনা সারা জীবনে একটাকেও পটাতে পারলো না। যাই হোক, এটা দুঃখের ব্যাপার না। এটা গর...

বার্থডে গিফট

Image
ঘুম থেকে উঠতে উঠতে ১০ বেজে গেল। তাও উঠতাম না। মোবাইলের ভাইব্রেশনের জন্য আর ঘুমাতে পারছি না। উঠতেই হল। উঠে দেখি ৩৭ টা কল!!! বাহ, সকাল সকাল আমাকে আবার কার এত দরকার হলো যে এত কল। ব্যাক করতে চাইছিলাম। কিন্তু করলাম না। কারন যার দরকার সে এমনিই কল করবে। শুধু শুধু কেন আমার মোবাইলের টাকা নষ্ট করবো। 😂🔫 এর মঝেই আবার কল। একই নাম্বার। রিসিভ করলাম, - আসসালামু আলাইকুম (আমি) - ওয়ালাইকুম আসসালাম। হ্যাপি বার্থডে!!!  কেমন আছো? (অপর প্রান্ত থেকে মেয়েলি কন্ঠে) । এটা শুনে মনে পরলো, আজ তো আমার জন্মদিন। ভুলেই গেছিলাম। । - থ্যানক্স। ভালো আছি। কিন্তু আপনি কে? - মাত্র ২ দিনেই আমাকে ভুুলে গেছো!!! তোমার থেকে এটা আশা করিনি অনিক। - আপনি আমার নাম জানেন কিভাবে!!! - আজব!! অনিক তুমি এখন অভিনয় তো ভালই শিখে গেছো। সাধারন একটা ঝগড়া লাগায় আজ ২ দিন আমাকে কল দাও না। ভালো, মেনে নিলাম। তাই বলে আজ আমাকেই অস্বীকার করছো। এমন ভাব, যেন আমাকে চিনোই না। বাহ ভালই!!! - আমি সত্যিই আপনাকে চিনতে পারছি না। আর কিসব বলছেন, ঝগড়া, ২ দিন কল দেই না। এসব কি!! সত্যিই বুঝতে পারছি না। - চিনবা কিভাবে এখন তো নতুন জিএফ পাইছো। তাই না? - জিএফ!!!...

সুইসাইড

Image
বিঃদ্রঃ গল্পটা সম্পূর্নই কাল্পনিক। কেউ এটাকে সিরিয়াসলি নিবেন না। এটা সম্পূর্নই একটা বিনোদন মূলক গল্প। ৯ জুলাই ২০১৮, সোমবার এখন ১ টা বাজে। আর মাত্র ১ঘন্টা বাকি রেজাল্টের। অবশ্য আমার এক্সাম খুবই ভালো হয়েছিলো, তবুও অনেক টেনশনে আছি। কারন ২০১৭ সালের ইন্টারের ব্যাচের যা অবস্থা করেছিলো। আমরা তো তারই পরের ব্যাচ। আল্লহই জানেন কি হবে। । আসলে যারা ছোট থেকেই খারাপ স্টুডেন্ট তাদের কোন প্যারা নাই। আর আমিও একজন মানুষ! সালার না পারলাম ভালো স্টুডেন্ট হতে আর না পারলাম খারাপ স্টুডেন্ট হতে। SSC তে A+ না পাওয়ার খোটা এখনো শুনতে হয়। আর এবার যদি A+ মিস হয় তাহলে আব্বু আর আমাকে পড়াবেই না। দুবাই পাঠিয়ে দিবে। আর সেজন্য ভিসা পাসপোর্ট সব রেডিও করে রেখেছে আব্বু। কিন্তু আমি একজন IT Security Specialist হতে চাই। । অবশ্য আমি অলরেডি IT Security Specialist। তবে আমার শুধু সার্টিফিকেট টাই নাই। এটা কোন ব্যাপার না। মাত্র ১ বছরের একটা কোর্স করলেই পেয়ে যাবো। তারপর এমনিতেই অনেক বড় বড় চাকরী ইজিলি পেয়ে যাবো। । যদিও আব্বু-আম্মু চায় আমি অনেক বড় ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার হই। কারন এটায় চাকরী ভালো পাওয়া যায় আর বেতনও ভালো। তবে আম...

ব্রেকআপ অনু (পর্ব-৩) [শেষ পর্ব]

Image
এবারে সত্যিই খারাপ লাগা শুরু হয়ে গেল, সাথে টেনশনও হচ্ছিলো। কারন হঠাত কি হল যে ও এভাবে চলে গেল। তাও আমাকে না বলেই। আমি যতদূর ওকে চিনি তাতে, লাস্ট রিলেশন টা ব্রেকআপ করাতে না পারায় এমনটা করার তো কোন প্রশ্নই ওঠে না। বরং আরো ভালো কোন প্লান নিয়ে ব্রেকআপ করানোর জন্য উঠে পরে লাগার কথা ছিল ওর। কিন্তু তা না করে চলে গেল। তার মানে ঘটনা অন্যকিছু। তাহলে নিশ্চই সিরিয়াস কিছু একটা হয়েছে। । আবার গেলাম ওর রুমমেটের কাছে। যেয়ে জিজ্ঞাসা করলাম, ওর বাড়ি চেনে কিনা। সে বলল, চেনে না। আমার একটা পেনড্রাইভ ওর কাছে ছিল। ছোটখাটো সাইজের না, পুরা ৬৪ জিবির পেনড্রাইভ। এতসবের মাঝেও এটার কথা ভুলিনি। এরপর জিজ্ঞাসা করলাম, কিছু বলে গেছে কিনা বা দিয়ে গেছে কিনা।  তখনই বলল, - অনু, একটা চিঠি দিয়ে গেছে। আর বলেছে যদি কেউ চায় তাহলে তাকে দিতে। না চাইলে কাউকেই যেন চিঠির কথা না বলি। কারন যার দরকার সে নিজেই এসে চাইবে এটা। - কিন্তু এমন কিছু কি বলে নাই যে চিঠিটা কার জন্য? - না। আমি জিজ্ঞাসা করাতে আমাকে বলেছে, "যার দরকার সে নিজেই চাইবে।" - তাড়াতাড়ি দাও তো চিঠিটা। আর কোন পেনড্রাইভ দিয়ে গেছে? - না। । । গেছে তো গেছে আমার পেনড্রা...

ব্রেকআপ অনু (পর্ব-২)

Image
এভাবে সবকিছু ভালই চলছিল। আরো ১ টা বছর খুব আনন্দের সাথে কেটে গেল। এর মাঝে আমাদের ফ্রেন্ড সার্কেলের সাইজ বড়ও হয়েছিল। তবে আবার ছোট হতে হতে আবার সেই ২ অনুতেই চলে আসলো। এর কারন আমরা ২ অনু কাউকে রিলেশনে যেতে দিতাম না। রিলেশন শুরুর আগেই শেষ করে দিতাম। আর এই কাজের জন্য আমাদের ২ জনের মাথায় বুদ্ধির অভাব ছিল না। তাই এরা না পেরে সার্কেল ছেড়েই বের হয়ে যেত। আর এখন সার্কেল বলতে আমরা ২ জনই। । তবে ভালই ছিলাম। আর অনু প্রায়ই, শুধু প্রায় বললে ভুল হবে। বলতে হবে সুযোগ পেলেই জ্বালায়। যেমন, একদিন হঠাত রাত ২ঃ৩০ দিকে কল দিয়ে, - দোস্ত কই তুই? (অনু, খুব ব্যস্তভাবে) - হোস্টেলে। ক্যান, কি হইছে? - খুব জরুরী কথা আছে। - ক। - আরেহ সিরিয়াস ব্যাপার। তোর তো চোখে ঘুম। আগে চোখ ধুয়ে আয়। । আমি ওর কথা বলার এক্সপ্রেশন দেখে ভেবে নিছি সিওর কোটি টাকার কোন কাহিনী পাইয়া গেছে। আমি তাড়াতাড়ি চোখ ধুয়ে এসে জিজ্ঞাসা করলাম, - কি হইছে এইবার ক। - ঘটনা হচ্ছে, তুই কি ঘুমাচ্ছিলি? - আরেহ, এগুলা বাদ দে। যা কইতে চাইছিলি সেইডা ক। - আমি এইডাই জিগাইতে চাইছিলাম যে, তুই ঘুমাইছিলি কিনা। 😂🔫 - ********* নিজেও ঘুমাবি না। আমারেও ঘুনাইতে দিবি না। অকারন...

ব্রেকআপ অনু (পর্ব-১)

Image
- "এই অনু" বেশ জোরেশোরে এই ডাক শুনে পিছে তাকিয়ে দেখলাম একটু দূরে ২ টা মেয়ে আমার দিকে তাকিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। । - "এই অনু, এদিকে আয়" আবারো হাত ইশারা করে ডাকলো। এবার তাদের দিকে এগিয়ে যেতে যেতে ভাবতে লাগলাম, আমার নাম অনু এটা এরা কিভাবে জানলো। মানে, আসলে তো এই নামটা আমার ক্লোজ ফ্রেন্ডরা ছাড়া কেউ জানে না। কারন, আসলে আমার নাম অনিক। ফ্রেন্ডরা শর্টকাটে অনু বলে। তবে ইউনিভারসিটিতে ভর্তি হলাম নতুন। কাউকেই তো চিনি না, এমনকি যারা ডাক দিয়েছে তাদেরকেও চিনি না। তাহলে এরা আমার নাম কিভাবে জানলো? এসব ভাবতে ভাবতে চলে গেলাম তাদের সামনে। যেয়েই জিজ্ঞাসা করলাম, - আমার নাম যে অনু এটা আপনারা কিভাবে জানেন? আমাকে চিনলেন কিভাবে আপনারা? . তারা ২ জন প্রথম কয়েক সেকেন্ড এমনভাবে আমার দিকে তাকালো যেন, আকাশ থেকে পড়েছে মাত্র। এর ঠিক কয়েক সেকেন্ডের মাথায়ই হাসির বন্যা বয়ে গেল দুজনের মুখে। এরমাঝে ঠিক আমার পিছন থেকে একটা মেয়ে এসে তাদের বলল, - কিরে কি হয়েছে?  আমাকে ডাক দিলি যে। আর এই আবুল আবার কে? - আর বলিস না অনু, বিশাল কাহিনী। (এটুকুও ভালো মত বলতে পারছে না। এত পরিমান হাসছে তারা) । তবে এ পর্যন্ত শুনেই বুঝে...

চোরের চিঠি

Image
প্রতি রাতেই আম্মুর সাথে আমার ৭-৮ বার ঝগড়া লাগেই। সন্ধ্যা থেকে রাত ১২ টা পর্যন্ত আম্মুর সাথে আমার ঝগড়া লাগে আর রাত ১২ টা থেকে সকাল ৫ পর্যন্ত আমার সাথে আম্মুর ঝগড়া লাগে। মানে, সন্ধ্যা থেকে আমি পড়ি কিন্তু আমার পড়া আম্মুর চোখে পড়া মনে হয় না। তাই আম্মুর সাথে আামার ঝগড়া লাগে। আর রাত ১২ টা থেকে আম্মু ঘুমাতে বলে কিন্তু আমি ঘুমের ভান করে মোবাইল আর ল্যাপটপ নিয়ে সারা রাত কাটিয়ে দেই। সেটার জন্য আমার সাথে আম্মুর ঝগড়া লাগে। আজও তার ব্যতিক্রম কিছু ঘটেনি। আর ফলাফল সরূপ প্রতিদিনের মত আবার আমি আমার সকাল ৮ টা এবং ৯ টার প্রাইভেট মিস করে ফেললাম।  অতঃপর আবার আম্মুর বকা। । রুম থেকে বের হয়ে বারান্দায় যেয়ে দেখি চিঠির মত ভাজ করা কাগজ। তুলে নিলাম। সাধারণত কাগজ পেলে সেটা পড়ার অভ্যাস আমার একেবারেই নেই। তাও পড়া শুরু করলাম। কাগজটাতে এমন লেখা ছিল, "প্রিয় বাসার সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভালই আছেন। তবে আমি ভালো নেই। আমার ভালো না থাকার কারন আপনারা। হ্যা আপনারাই। । আপনারা কি মানুষ না অন্য কিছু? রাতে কি ঘুমাতে মন চায় না? আপনাদের মত মানুষদের প্রতিদিন ঘুমের ওষুধ খাওয়াতে মন চায়। কিন্তু পারি না। । আমি একজন অতি সাধারন চোর...

ঘুমের স্বপ্নও ক্রিয়েটিভিটি

Image
প্রতিদিনের মত আজও লেট করে ফেলেছি। আজ ম্যাডামকে প্রমিস করছিলাম যে, আজ সবার আগে যাবো। কিন্তু আজ তো সবার লাস্টে যাওয়া লাগবে। আজ সিওর ম্যাডাম আমাকে বড় ধরনের কোন শাস্তি দিবেন। কিন্তু এখন কি করি? প্রাইভেটে গেলে ম্যাডাম, আর না গেলে আম্মু। আমি তো মাইনকা চিপায় পরছি 😭😭😭😭 . তাও বাধ্য হয়ে যেতেই হল। আমি ক্লাসে এসে দেখি ২০ মিনিট লেট। ম্যাডাম পড়ানো শুরু করে দিয়েছেন। আমি বললাম, - আসতে পারি ম্যাডাম? - ওহ অনিক, নাকি!!! বাহ আজ তো তুমি সবার আগেই চলে আসছো।  সবাই অনিকের জন্য সবাই হাতে তালি দাও। । ক্লাসের সবাই হি হি করে হেসে উঠলো। আর আমি তো লজ্জায় শেষ। সব শেষে ম্যাডামও মজা নিলো। 😭😭😭😭 . এবার সবাইকে থামিয়ে ম্যাডাম প্রশ্ন করলো, - এত দেড়ি হলো কিভাবে?  । ম্যাডামের চাহারা দেখেই বুঝতে পারছিলাম, আজ বড় কোন শাস্তি নিশ্চিত অপেক্ষা করছে আমার জন্য। তাই  কোন একটা বাহানা বানাতে পারলে হয়তো শাস্তি একটু কমতে পারে। তবে পুরোপুরি মাফ করবে না। কারন ম্যাডাম খুব জল্লাদ। 😒😒😒 . কিন্তু মাথায়ও কিছুই আসছে না। কি যে করি...... 😖😖😖 হঠাৎ মাথায় একটা কথা আসলো, কিন্তু কিছু না ভেবেই বলে ফেললাম। -...