বার্থডে গিফট



ঘুম থেকে উঠতে উঠতে ১০ বেজে গেল। তাও উঠতাম না। মোবাইলের ভাইব্রেশনের জন্য আর ঘুমাতে পারছি না। উঠতেই হল। উঠে দেখি ৩৭ টা কল!!!
বাহ, সকাল সকাল আমাকে আবার কার এত দরকার হলো যে এত কল। ব্যাক করতে চাইছিলাম। কিন্তু করলাম না। কারন যার দরকার সে এমনিই কল করবে। শুধু শুধু কেন আমার মোবাইলের টাকা নষ্ট করবো। 😂🔫
এর মঝেই আবার কল। একই নাম্বার। রিসিভ করলাম,
- আসসালামু আলাইকুম (আমি)
- ওয়ালাইকুম আসসালাম। হ্যাপি বার্থডে!!!  কেমন আছো? (অপর প্রান্ত থেকে মেয়েলি কন্ঠে)

এটা শুনে মনে পরলো, আজ তো আমার জন্মদিন। ভুলেই গেছিলাম।

- থ্যানক্স। ভালো আছি। কিন্তু আপনি কে?
- মাত্র ২ দিনেই আমাকে ভুুলে গেছো!!! তোমার থেকে এটা আশা করিনি অনিক।
- আপনি আমার নাম জানেন কিভাবে!!!
- আজব!! অনিক তুমি এখন অভিনয় তো ভালই শিখে গেছো। সাধারন একটা ঝগড়া লাগায় আজ ২ দিন আমাকে কল দাও না। ভালো, মেনে নিলাম। তাই বলে আজ আমাকেই অস্বীকার করছো। এমন ভাব, যেন আমাকে চিনোই না। বাহ ভালই!!!
- আমি সত্যিই আপনাকে চিনতে পারছি না। আর কিসব বলছেন, ঝগড়া, ২ দিন কল দেই না। এসব কি!! সত্যিই বুঝতে পারছি না।
- চিনবা কিভাবে এখন তো নতুন জিএফ পাইছো। তাই না?
- জিএফ!!!  আমি তো জন্মগতভাবে সিঙ্গেল।
- তাইলে আমি কি তোমার বোন হই নাকি?
- মানে!!! আপনি কি বলতে চাচ্ছেন!!!! দেখেন আমি শিওর আপনার কোথাও একটা ভুল হচ্ছে। আপনি ভুল নাম্বারে কল দিয়েছেন।
- তাই?  আমি ভুল নাম্বারে কল দিয়েছি? তাহলে নাম্বার মিলাও, 017xxxxxxxxx।  মিলছে?
- এটা তো আমারই নাম্বার।
- সেটাই তো। তাহলে ভুল নাম্বার হল কিভাবে? আর এসব অভিনয় বন্ধ করো। আমি দেখা করতে রাজি।
- দেখা করতে রাজি মানে!!!!
- মানে আবার কি, যে কারনে আমার সাথে আজ ২ দিন কথা বলো না। রেগে আছো। আর এখন তো চিনতেও অস্বীকার করছো। আমি দেখা করতে রাজি, কখন কোথায় দেখা করতে হবে বলো।
- দেখেন, আমি আপনাকে চিনি না। দেখাও করার ইচ্ছা নাই। আপনার কোথাও ভুল হচ্ছে।
- অনেক হইছে। আর একটা উল্টাপাল্টা কথা বললে আমি এখনই সুইসাইড করবো। সিরিয়াসলি।
- ওকে, রেলের মাঠে বিকাল ৫ টা।
- না। এখনই আসো। আমিও আসছি রেলের মাঠে।
- কিন্তু (আর বলতে পারলাম না। এর আগেই কল কেটে গেল)

এখন ভালোভাবে ভাবতে লাগলাম, আসলেই আমার জিএফ ছিল? তার সাথে আবার ঝগড়া, ২ দিন কথা বলি না? তাইলে আমার মনে পড়ে না কেন?

আরে ধুর, পাগল মার্কা মেয়ে। নিশ্চিত নাম্বার ভুল করছে। এটা ভাবতে ভাবতেই আবার কল। একই নাম্বার। যাক, থাহলে নিশ্চই বুঝতে পেরেছে যে ভুল নাম্বারে কথা বলেছে এতক্ষণ।  রিসিভ করলাম,
- হ্যালো
- এখনই বের হও। এখনই

আবার কেটে দিলো কিছু বলার আগেই। এবার আর না পেরে মোবাইল অফ করে ফ্রেশ হয়ে নিলাম। আহ, আজ বার্থডে বলে বাসায় আম্মু অনেক কিছু রান্না করেছে। ওয়াও। শান্তি মত খাওয়া যাবে। ব্রেকফাস্ট করে নিলাম।

এবার আমার ফেভারিট গেম Assassin Creed lll খেলছি। অনেক ক্রিটিক্যাল একটা মিশনে আছি। একবার ফেইল হইলেই পুরা মিশন আবার প্রথম থেকে খেলা লাগবে। খুব মন দিয়ে খেলতেছি। প্রায় শেষের দিকে চলে আসছি। এর মাঝে আম্মু বলল,
- এই অনিক দেখ কে যেন আসছে। তোকে খুজতেছে।
- ভিতরে আসতে বলেন

আমি তো সেই মন দিয়ে খেলতেছি। এর মাঝে একটা মেয়ে কন্ঠে, "এই যে মিস্টার!"
মেয়ে কন্ঠ শুনে এক পলক তাকালাম। দেখলাম, অতি সুন্দরী এক রমণী দাঁড়িয়ে আছে। আবার গেমে মন দিয়ে জিজ্ঞাসা করলাম,
- আপনি কে?  ঠিক চিনলাম না তো আপনাকে।
- একটু আগে কল দিয়েছিলাম। রেলের মাঠে যাওয়ার কথা ছিল। আমি ১ ঘন্টা সেখানে দাঁড়িয়ে ছিলাম। আর তুমি!!!

এইটুকু শুনেই কাজ হয়ে গেছে। কিসের গেম? গেম বাদ দিয়ে ওর দিকে হা করে তাকিয়ে আছি। সিরিয়াস  মাপের ভয় পাইছি। এ কেমন আপদ। আমি তো চিনতেই পারছি না। এদিকে সে আমার বাসায় এসে হাজির। হঠাত কম্পিউটারের একটা আওয়াজে দুনিয়ায় ফিরলাম। আমার মিশনের ৯৯% এ যেয়ে ফেইল্ড হয়ে গেল। তবে সেটা বড় ব্যাপার না। বড় ব্যাপার হল, মেয়েটা কে?  আমার বাসা চিনলো কিভাবে? আম্মু কি ভাববে? হায় হায়। আমি শেষ।

এর মাঝে আম্মু রুমে আসলো নাস্তা নিয়ে। আমাকে জিজ্ঞাসা করলো,
- অনিক এটা কে?  (আম্মু)
- আম্মু, ও তো আমার ফ্রেন্ড  আমরা একসাথেই পড়ি। আজ ট্রিট দেওয়ার কথা তো। তাই বাসায় চলে আসছে।
- ও। আচ্ছা। তোমার নাম কি? (আম্মু, মেয়েটাকে উদ্দেশ্য করে)
- আন্টি আমার নাম সাইমা।
- তোমরা কি একই কলেজে পড়?
- হ্যা আন্টি।
- আচ্ছা, অনিক ঠিক মত পড়াশোনা করে তো?
- না। আন্টি ও একদমই পড়াশোনা করে না। রেগুলার সব টিচারের কাছে বকা শোনে পড়া না পারার জন্য। আর আন্টি আপনি কি জানেন, ও কিন্তু প্রাইভেট পরে ৩ টা। আপনার থেকে কয়টার টাকা নেয়?
- কিরে অনিক তুই নাকি ৫ টা প্রাইভেট পড়িস? (আমার উদ্দেশ্যে)
- আম্মু, আমি ৫ টাই পড়তাম। এই মাসে এক স্যার ট্রেনিং এ গেছে। আপনাকে তো বলছিলাম। আর ও কিছুই জানে না। আন্দাজে বলতেছে। আপনি বিশ্বাস কইরেন না। (আমি)

আসলে আমি প্রাইভেটের টাকা বেশি নেই ঠিক আছে। তবে এতটা না যতটা সাইমা বলল। আসলে আমি ৪ টা প্রাইভেট পড়ি কিন্তু ৫ টার বেতন। ওটা তো হাতখরচের জন্য দরকার হয়ই। তবে কথা হচ্ছে এটা সাইমা কিভাবে জানলো? 😒🔫

- হুম। সে তো বুঝলামই। আর কি কি করে অনিক? (সাইমার উদ্দেশ্যে)
- এগুলাই। করে মূলত।
- আচ্ছা তোমার কথা বলো। আমি আসছি

এটা বলে আম্মু তো গেল। কিন্তু আমার কি হবে এখন? এর মাঝে সাইমা বলা শুরু করলো,
- আমার সাথে চিটিং করার ফল ভালো হয় না।
- আমি সত্যিই আপনাকে চিনতে পারছি না আপু।
- এইবার বেশি বাড়াবাড়ি হয়ে যাচ্ছে। তোমার আম্মুকে ডেকে সব বলে দেব। তখন বুঝবা মজা।
- কি বলবেন আপনি? হ্যা, কি বলবেন?
- এখন যদি তুমি এই আপনি করে বলা বন্ধ না করো তাহলে আমি সত্যিই আমাদের রিলেশনের কথা আন্টিকে বলে দিবো।
- আজব কিসের রিলেশন!!! আমি তো আপনাকে চিনিই না।
- আবার আপনি?
- ওকে, তুমি। 😭
- গুড। এবার রেডি হও। আমরা ঘুরতে যাবো। 😊
- মানে কি!!! আমরা ঘুরতে যাবো মানে!!! আমি পারবো না। আমি আপনাকে চিনি না জানি না আপনার সাথে ঘুরতে যাবো কেন?
- আবার আপনি?  তুমি রেডি হবা নাকি আমি আন্টির কাছে যাবো?
- ওকে। তুমি। 😖
আমি রেডি হচ্ছি।

আসলে এখন আসলেই আমার মনে হচ্ছিলো যে ও আসলেই আমার জিএফ। আর আমারই সর্ট টাইম মেমোরি লস হয়েছে। তাই মনে করতে পারছি না ওকে। যদিও আমার গতকাল রাত পর্যন্তও স্পষ্ট মনে আছে। কিন্তু তাও হিসাব মিলছে না।

রেডি হয়ে বের হলাম ওর সাথে। এলাকার লোকজন সব আমার দিকে তাকিয়ে আছে। এলাকার সবার কাছে আমি অতি ভদ্র ছেলে। তবে সবার মনে প্রশ্ন একটাই, এই মেয়েটা কে?
আবার সবাই এটাও চিন্তা করছে যেহেতু বাসা থেকেই বের হয়েছি তার মানে কোন রিলেটিভ হবে হয়তো।

অটো দাড় করালাম। সে উঠবে না। তার চাই রিকশা। আমি জীবনেও রিকশায় উঠে টাকা নষ্ট করি না। আজ কোনো উপায় নাই। বিশাল আকারে ফেঁসে গেছি।

রিকশায় উঠে কোথায় যাবো জানি না। ওঠার দরকার উঠছি। এর মাঝে ও রিকশাচালক কে বলল, ঘরছাড়ায় যেতে। এটা শুনে আমি বললাম,
- তুমি তো ঘুরতে চেয়েছিলে। এখন কেন ঘরছাড়ায় যাচ্ছো?
- আজব। আজ তোমার বার্থডে। আর আমি তোমার একমাত্র জিএফ। আমাকে ট্রিট দিবা না বাবু?
- কে তোমার জিএফ?  ছিঃ
- হি হি হি হি...... আমার জিএফ না। তুমি তো আমার বিএফ।
- অহ। ওই একই। আমি তোমার কেউ না। আমার কাছে টাকা নাই। ১০০ টাকা আছে। এর মাঝে যা পারো করো।
- তাহলে তোমার ওই ১০০ টাকার নোট টা আমাকে দাও।

আসলে আমার কাছে ১০০০ টাকার নোট। কোন ১০০ টাকার নোট নাই। সম্ভাবত এটা সাইমা জানে। তাই সুযোগটা ব্যবহার করলো।

- টাকা দিতে যাবো কেন? তুমি ১০০ টাকার মধ্যে যা পারো খাও। আমি বিল দিয়ে দিবো।
- ছিঃ অনিক তুমি এত কিপটা। জীবনের প্রথন জিএফ নিয়ে বের হয়েছো একটু ভালো খাওয়াদাওয়া করাবা না বাবু?
- কে বাবু? ছিঃ, আমি কারো বাবু না।

এরকম করতে করতে পৌছে গেলাম ঘরছাড়ায়।

হইছে কাজ। এখানে গেলে অনেক খরচ হয়। একদম খরচ না করলেও ৫০০ টাকা যাবেই। আর একটা স্টুডেন্টই জানে, ৫০০ টাকা মানে কি? বিশেষ করে বেশি কষ্ট হচ্ছে, কারন চিনি না জানি না একটা মেয়ের জন্য অকারনে আমার এতগুলা টাকা যাবে আজ।  আর এদিকে আমি মোট আম্মুর থেকে নিয়েছি মাত্র ১০০০ টাকা  ভেবেছিলাম ৫০০ টাকায় ফ্রেন্ডদের ট্রিট দিবো আর বাকি ৫০০ টাকার গল্পের বই কিনবো। কিন্তু মনে হয় না সেটা আর সম্ভব হবে।

ঘরছাড়ায় ঢুকেই তো আরো বড় রকমের ভয় পেয়ে গেছি। সেখানে আমার চাচা আর বিখ্যাত সৌরভ ভাইয়া আর সাথে আছে রাসেল ভাইয়া বসে আছে। এই ২ কিপটারে এইখানে দেখবো জীবনে আশাও করিনি।

চাচা হল, আমার আব্বু চাচাত ভাই। মানে আসলেই আমার কাকা হয়। বয়সে আমার থেকে দেড় দুই বছরের বড় হওয়ায় চাচা বলেই ডাকি। তার নাম ইমন।

আমি ভিতরে যাবোই না। জোর করে ঠেলতে ঠেলতে সাইমা।আমাকে ভিতরে নিয়ে গেল। আমাকে দেখেই চাচা আর সৌরভ ভাইয়া ছবি তোলা ভিডিও করা সেল্ফি তোলা শুরু করে দিয়েছে। মনে হচ্ছে আমি কোন সেলেব্রিটি।  কিন্তু এগুলা কেন করছে তা আমার থেকে ভালো আর জানে না। এগুলা হল, পরবর্তিতে আমাকে ব্ল্যাকমেইল করে অকারনে ট্রিট নেওয়ার একটা কার্যকরী পদ্ধতি। আর এরকম পদ্ধতিতে আমি বহুবার ফেঁসেছি।

এবার এই পর্ব শেষে আমাকে সৌরভ ভাইয়া জিজ্ঞাসা করতেছে,
- কিরে অনিক, এটা কে?
- বিশ্বাস করেন আমি এরে চিনি না। সকাল থেকে পিছন লাগছে। 😖
- না চিনেই ঘরছাড়ায় নিয়ে আসছিস। আর আমাদের তো জীবনে শহিদুলেও নিলি না। সমস্যা নাই। পিকচার আর ভিডিওগুলা আপলোড হবে তো। কোন টেনশন নাই।
- আমি সত্যিই চিনি না। আর এমনি এমনি আসি নাই এই যায়গায়। প্যারায় পরে আইছি। বাসায় গেছিলো আমার।
- তারপর?
- আম্মুর সাথে কথা কইছে। আম্মুকে তো আমি ফ্রেন্ড পরিচয় দিছি। নাইলে ও জিএফ পরিচয় দিত। 😖😖
- আর তাই তুই ঘরছাড়ায় নিয়ে আইছিস!!! তাইলে তো ভিডিও মাস্ট আপলোড হবে।
- ভাই ভাই ভাই, আমি সবাইরেই ট্রিট দিচ্ছি। তাও কিছু কইরেন না। 😭
- এইতো। এইনার আইছে লাইনে। ভদ্র ছেলে। যা, এক প্যাকেট টিসু পেপার কিনে আন নিচ থেকে। (ঘরছাড়া ৩ তলায়)
- টিসু তো এখানেই আছে। কিনার কি দরকার?
- তুই যাবি নাকি এখনই আপলোড দিবো?
- যাইতাছি 😒
.
এমনিই বুক ফেটে যাচ্ছে কষ্টে। ভাবছিলাম ৫০০ তেই কাজ হবে এখন তো ১০০০ তেও কাজ হবে কিনা সন্দেহ। আমার বই আর কেনা হবে না। 😭
আর তার উপর টিসু থাকা সর্তেও আবার।

টিসু কিনে উপরে যেয়ে দেখি দরজা বন্ধ। মানে ভালোভাবে লক করা। এটা কিভাবে সম্ভব! রেস্টুরেন্টে এটা সম্ভব, তাও দিন দুপুরে?

নক করলাম। দরজা খুলে দিলো। ভিতরে অন্ধকার। জানালা সব বন্ধ। তার ওপর পর্দা টানা। ভিতরে ভয়ে ভয়ে এগিয়ে যাচ্ছিলাম। এর মাঝেই হঠাত মনে হল আমি পুরা ঢেকেগেছি। এর মাঝে লাইট জ্বলে উঠলো। এর মাঝে অনেকগুলা বেলুনও ফাটালো। বড় মাপের শকড। এ দেখি আমার বার্থডের জন্য আয়োজন। সব সাজানো। টেবিলে একটা কেক। এটা কি হল?
কে করলো এসব?
মাথায় ঢুকতেছে না। তবে সারপ্রাইজ টা সত্যিই অসাধারণ ছিল। আমি কল্পনাও করিনি এমন কিছু হবে। কিন্তু এসব এ্যারেঞ্জ করলো কে?
আর সাইমা?

এখন আমার এই হতবম্ব অবস্থা দেখে সৌরভ ভাইয়া নিজেই বলা শুরু করলো,
- এসব আগে থেকেই প্লান করা ছিল। আর এটা তোমার ভাবি (সাইমাকে দেখিয়ে বলল)। তোমাদের কলেজে, তোনার ক্লাসে, তোমারই ডিপার্টমেন্টে পড়ে। এবার বুঝছো?
(আমার সাথেই পড়ে আমি চিনি না। অবশ্য চেনার কথাও না। বেশি রেগুলার স্টুডেন্ট তো। 2nd year এ উঠে গেছি। এখন পর্যন্ত ১৫ দিন ক্লাস করছি কিনা সিওর না।)
- এ কেমন সারপ্রাইজ?  😭🔫
- হা হা হা হা হা.... তোমারে নাকি কেউ বাঁশ দিতে পারে না। তাই আর কি একটু প্রাকটিস করে দেখলাম। 😂

এভাবে কথা বললাম সবার সাথে। সব শেষে কেক কাটা হল। অনেক মজা হল। তারপর জিজ্ঞেসা করলাম,
- সব তো হল। সব বুঝলামও। তবে আমার বার্থডে গিফট কই? 😁
- তুমি তো অনেকদিন ধরেই জিএফ জিএফ করতেছিলা। আমাকে কতবার বলেছো। আবার এটাও বলেছো ১ দিনের জিএফ হলেও যেন খুজে দেই। তাই আর কি তোমার গিফট হিসাবে ১ দিনের জিএফ দিছিলাম। (সৌরভ ভাইয়া)
- এটা তো ভাবি।
- ভাবিরাও জিএফ এর ভূমিকা পালন করতে পারে। বুঝেছো অনিক বাবু। (সাইমা)
- এ কেমন বার্থডে গিফট! 😭🔫
(সমাপ্ত)

Comments

Popular posts from this blog

একটি ছ্যাকা খাওয়ার গল্প

চিঠি=বাঁশ (২য় পর্ব)

ব্রেকআপ অনু (পর্ব-১)