চিঠি=বাঁশ (২য় পর্ব)



ক্লান্ত শরীরে বাসায় ফিরে মোবাইল টা হাতে নিয়ে দেখি ম্যাসেজ আসছে। এটা কোন বড় ব্যাপার না। প্রতিদিনই আমার  মোবাইলে কমপক্ষে ৩০-৩৫ টা ম্যাসেজ আসেই। ওইগুলা সব জিপি আর টেলিটক বাবার দয়া। তাই আর মাথা ঘামাতে ইচ্ছা হল না। মোবাইলটা রেখে ওয়াশরুমে যাচ্ছিলাম ঠিক তখন মনে পরে গেল, ম্যাসেজ টা তো রাইসাও দিতে পারে। ভয়ে কাজ শেষ আমার। দৌড়ে গিয়ে মোবাইল হাতে নিয়ে দেখি ৫০০ টাকা ফ্লেক্সিলোড!!!!!!!!!!
চোখ আমার কপালে। এত টাকা তো আমি সারা বছরেও আমার মোবাইলে লোড দেই না।  কারন ১০ টাকা লোড দিলে সেই টাকার মেয়াদ শেষ হয়ে যায় কিন্তু টাকা শেষ হয় না । মনে আনন্দ হইতে যাইয়াও হইলো না। কারন রাইসার কথা মনে পরে গেল। আমি পুরাই সিওর এই টাকা ও ছাড়া আর কেউ দেয় নাই।
.
এখন তো নিজের কাছে নিজেকে অনেক ছোট লাগা শুরু হল। শেষ পর্যন্ত একটা মেয়ে আমার মোবাইলে টাকা লোড দিয়ে দিলো।  ছিঃ ছিঃ ছিঃ.....
এর থেকে লজ্জাজনক বিষয় আর কি হতে পারে?
.
এখন আর কিছুই করার নাই, টাকাগুলা ওকে ফেরত দিতে হবে। হাতে দিলে নিবে না আমি ১১০% শিওর, সাথে মাইরও  খাইতে পারি। তাই ফ্লেক্সিলোডই দিতে হবে। কিন্তু সমস্যা হল, আমার কাছে তো টাকা নাই। কিছুদিন আগেই আমার ২ মাসের হাতখরচ এবং আরো কিছু টাকা মিলিয়ে মোট ৮০০০ টাকার বই কিনেছি। কি যে করবো ভেবেই পাচ্ছি না।
.
এর মাঝে হঠাত আমার মাথায় একটা কথা আসলো। তবে এটা বলার আগে আমার ফ্রেন্ডসার্কেল সম্পর্কে বলে নেওয়া ভাল।
.
আমার ফ্রেন্ড বলতে, তাওহীদ, সরন এবং শান্ত।
.
শান্ত, প্রতি সপ্তাহেই জিএফ চেঞ্জ করে। অবশ্য এতে ওর দোষ কম। বেচারার গার্লফ্রেন্ড বেশিদিন টেকে না। ব্রেকআপ তাড়াতাড়ি হয়ে যায়। ও আর কি করবে।
.
তাওহীদ আবার আরেক বদমাইস। দেখতে কিউট তো, আর কি লাগে। বাকি টা ইতিহাস।
.
সরন, ওর ব্যাপারে কি আর কমু, কওয়ার কিছুই নাই সব হ্লাই একই রকম। কিন্তু দুঃখের ব্যাপার বেচারা কোনদিন জিএফ-ই পাইলো না।  (ওর জন্যে ১ কাপ আপচুচ আর ২ সেকেন্ড নিরবতা) 😂
.
আর আমরা সবাই সবার বাঁশ তো দেই ঠিকই কিন্তু আমরা সবাই আলাদা মায়ের পেটের আপন ভাই। নিজেরা নিজেদের বাঁশ দেই। কিন্তু বাইরে থেকে কেউ আমাদের কাউকে বাঁশ দিতে গেলে আবার সবাই মিলে তারে বাঁশ দেই। 😁✌
.
চলে আসি আসল কথায়, কিছুদিন আগে হ্লা তাওহীদ আমার থেকে ১০০০ টাকা ধার নিছে। সেই টাকা দেওয়ার নাম নাই। কয়েকদিন আগে হ্লায় আবারো ১০০০ টা ধার নিছে। কিন্তু এইবার আমি সব টাকা উসুল করবো। সেই সিস্টেম করেই রাখছি। কল দিলাম তাওহীদকে,
.
- হ্যালো। (তাওহীদ)
- হ্লা কই তুই?
- ক্যান কিসসে? 
- দোস্ত, তোর কাছে না আমি টাকা পাই। আমারে ৫০০ টাকা দে না। প্লিজ
- হুর হ্লা। আজ আমার জানের সাথে আমার ডেট আছে। কিছু একটা উপহার না নিলে হয়?  ১০০০ টাকা আছে। দিতে পারমু না।
- ভাই প্লিজ। খুব বিপদে পরছি দে না। তোরই ভাল হবে।
- আমার ভালোর দরকার নাই। আমার জান আমাকে কল দিচ্ছে এখন আমাকে যেতে হবে। বাই
- দাড়া তোর জন্য একটা নিউজ আছে শুইনা যা।
- ক, কি নিউজ
.
আমি মোবাইলে একটা ভিডিও প্লে করে দিলাম। ভিডিও থেকে যে শব্দ আসছিল তা অনেকটা এইরকম,
- টাকা দিয়া কি করবি?
- জিএফ রে গিফট দিমু।
- জিএফ কে?
- হ্লা, তোর ভাবি। আমার বউ। ইমা।
- কত টাকা লাগবে?
- ১০০০ টাকা। তাড়াতাড়ি দে। ও অপেক্ষা করতেছে।
.
এই পর্যন্ত এসে ভিডিও অফ করে বললাম, "১০০০ টাকা নিয়া সোজা আমার বাসায় চইলা আয়। বেশি কথা কইলেই ভিডিও আন্টির হাতে। 😂😂😁😁"
.
এই বলেই কল কেটে দিলাম। আসলে ২য় বার ওরে টাকা ধার দিছিলামই এই ভিডিও বানানোর জন্য।
.
৫ মিনিট পর দেখি তাওহীদ হাজির। ও এসেই বলল,
- দোস্ত ওইডা কি ছিল?
- কিছু না। লাস্ট যেদিন ধার নিছিলি ওইদিন এই ভিডিও করছিলাম যেন টাইম মত টাকা ফেরত পাই। টাকা দিয়া সোজা বাইর হইয়া বাসায় চইলা যা।
- দোস্ত টাকা গুলা আমার খুব দরকার। কাল নিস তুই।
- তুই টাকা দিবি না আমি আন্টিরে ভিডিও দিমু?
.
বেচারা টাকা রাইখা ভদ্র ছেলের মত চইলা গেল। আমি টাকা নিয়ে তখনই রাইসার নাম্বারে ৫০০ টাকা লোড দিয়ে দিলাম।
.
বাসায় এসে গেছি ঘুমাইয়া। ঘুমাইছিলাম না মইরা গেছিলাম তা জানা নাই। উঠছি পরেরদিন সকালে। উঠেই মোবাইল হাতে নিয়ে দেখি ৪৫৭ টা মিসড কল!!!!!! (মানে কল দিছে, আমিই মিস করছি)
আর সব গুলাই রাইসা দিছে। আমি তো ভয়ে শেষ। আজ কলেজে আমার খবর আছে। কিন্তু যেতেই হবে। আজ কলেজে প্রাকটিক্যাল ক্লাস আছে। ভয়ে ভয়ে বের হয়ে পরলাম কলেজের উদ্দেশ্যে।
.
প্রাইভেট শেষ করে সেই রাস্তা দিয়ে কলেজে যাচ্ছিলাম। মন খুব খারাপ। কোন দিকে মনোযোগ নাই। হঠাত মনে হল কেউ আমার ডান হাতে একটা ঘুসি মারলো। ওহ, অনেক ব্যাথা পেয়ে বুঝে গেলাম রাইসা ছাড়া কেউ না। তাও ঘুরে তাকালাম। তাকিয়ে তো ভয়ই পেয়ে গেছি। এ তো সেই মেয়েটা যাকে চিঠি দিয়েছিলাম। মনে মনে বলেই ফেললাম আল্লাহ, এই মেয়ে যেন রাজি না হয়। নাইলে একসাথে ২জনরে নিয়া আমার জীবন শেষ। এর মাঝে সে বলল,
.
- নিজেকে কি ভাবেন আপনি?
- মানে!!!  (অবাক হয়ে হা করে)
- চিঠিতে ওইসব কি লিখছেন? আবার ডাকলে উত্তর নেন না। ভাব নেন আমার সাথে? যতই ভাব নেন লাভ নাই। আপনি একটা খ্যাত আর সবসময় খ্যাতই থাকবেন। (রেগে গিয়ে)
.
মনের মধ্যে তখন লুঙ্গী ডান্স চলতেছে। যাক, তাইলে চিঠি ওর পছন্দা হয় নাই। মনে মনে আল্লাহকে বললাম, "Thankyou Allah"......
.
- না মানে (আমি)
- থাক হইছে। বুঝছি। এইবারের মত ছেড়ে দিলাম এর পর কখনো এমন করলে আপনার হাত পা ভেঙে ফেলবো।
.
মাইরালা!!!!  এই এলাকার সব মাইয়ারাই কি এইরকম গুন্ডা টাইপের নাকি!!!  যাক তাও তো বাঁচা গেল। আমি "ok" বলেই হাটা শুরু করতেই পেছন থেকে আমার হাত টেনে ধরল। পিছে ফিরে কিছু বলার আগেই ও বলে,
- আজব কোথায় যাচ্ছেন? আমার কথা শেষ হইছে?
- না মানে
- চুপ। কোন কথা বলবেন না। আমি বলবো আপনি শুনবেন। চিঠিটার সব ভাল ছিল। লাস্টের ৪ লাইন না লিখলে হত না? হুহ। ওই চার লাইন পড়েই বুঝছি আপনার থেকে ভীতু আর একটাও নাই। মুডাটাই নষ্ট হয়ে গেছিলো ওই ৪ লাইন পড়ে। হুহ। আমি আপনাকে ভাই ডাকতে যাবো কেন? আমি কি আপনাকে পছন্দ করি না? কিছুই বোঝেন না আপনি।
- মানে!!!!
- মানে, আমিও আপনাকে খুব ভালোবাসি।
.
এটা বলেই হাতের মাঝে একটা কাগজ দিয়ে দৌড় সে চলে গেল। আর আমি পুরাই আবাল হয়ে গেলাম। এইডা কিছু হইলো? আল্লাহ তোমার ইংলিশে থ্যাংকস দিসি দেখে এই প্যাচে ফেলে দিলা। 😖😖😖
.
কাগজ টা খুললাম, সেখানে একটা নাম্বার আর নাম্বারে নিচে লেখা তিশা। আর ব্রাকেটে লেখা, "ক্লাস টাইম বাদে যে কোন টাইম কল দিতে পারেন।".
এইডা কিছু হইলো???!!!!
.
এখন ভাবতেছি। রাইসারে কি বলবো আর তিশারে কি বলবো। কাকে বাদ দিবো?  এইসব ভাবতে ভাবতে কখন যে কলেজের গেটের ভেতর ঢুকে গেছি তা বুঝতেই পারি নাই। হাটতে হাটতে হঠাত ধাক্কা!!!  তাকিয়ে দেখি রাইসা আমার দিকে তাকিয়ে আছে। চোখগুলা সম্পুর্ন লাল। মনে হচ্ছে চোখ দিয়েই আমাকে খেয়ে ফেলবে।
.
- কল রিসিভ করতে কষ্ট হয়? (প্রচন্ড রেগে)
- না। আমি আসলে ঘুমাইছিলাম।
- দুপুর থেকে পরেরদিন সকাল পর্যন্ত?
- হ্যা।
- থাপড়াইয়া সোজা বানাইয়া ফেলবো। বুঝছো? আমার নাম রাইসা।
.
(মনে মনে কই, হ, 
রাইসা,
মাছ খায় বাইছা বাইছা)
.
- আমি সত্যিই ঘুমাইছিলাম।
- বিষ খেয়ে ঘুমাইছিলা?
- না। কিন্তু তাও
- চুপ। একদম চুপ। তুমি জানো আমি সারা রাত ঘুমাতে পারিনি। জেগে ছিলাম সারা রাত। একটু পর পর তোমাকে কল দিছি। আমি কত টেনশন করতেছিলাম তোমাকে নিয়ে। জানো?
- না না। আমার কিচ্ছু হয় নাই। আমাকে নিয়ে টেনশন করতে হবে না।
- তোমার কিচ্ছু হয় নাই এটা আমিও জানি। আমি টেনশন করতেছিলাম তুমি আবার কোন মেয়ের পিছে পিছে ঘুরতেছিলা কিনা সেটা নিয়ে। হুহ
.
এইডাও শোনার বাকি ছিল জীবনে! (মনে মনে)
.
- আচ্ছা, সকালে ঘুম থেকে উঠেও তো একটা কল দিতে পারতে?  দাও নাই কেন?  দাও নাই কেন?  (রাইসা, খুব রেগে রেগে)
- আমার ফোনে টাকা ছিল না।।।। না না মানে, টাকা ছিল। কিন্তু মনে ছিল না।
- ভালো  কথা, আমার ফোনে টাকা তুমি লোড দিছো?
- মোটেই না। আমি নিজের ফোনে টাকা ভরি না আবার শত্রুর ফোনে।
- কিহ!!!!
- আই মিন, জিএফ এর ফোনে।
- ওই ১ মিনিট, আজ তোমার সাথে ওই মেয়েটা কে ছিল?
- কোন মেয়ে!!!!  (আমার মাথা এখন ঘোরা শুরু করছে। ও তিশারে দেখে ফেলছেরে। জীবনটা শেষ আমার।)
- ওই যে, গার্লস স্কুলের ড্রেস পরা মেয়েটা।
- ওহ ওইটা। ওইটা তো আমার কাজিন। মানে ছোট বোন। আজ ওর আম্মু অনেক রিকুয়েস্ট করে বলল ওকে যেন স্কুলে পৌছে দেই। তাই দেখছো হয় তো।
- ও তাই নাকি? নাম কি তার?
- না-আ-আ-আ-ম। নাম দিয়ে কি করবা। চল ক্লাসে যাই। 😁😁
- এই দাড়াও। নাম বল মেয়েটার।
- ওর নাম শায়লা।
- কিসে পড়ে?
- ক্লাস ১০।
.
ঠিকানা তো দিয়ে দিলাম শান্তর বর্তমান জিএফ এর। আল্লাহই জানে কি হয়।
.
- তার মানে আসলেই আজ কোন মেয়ের সাথে তুমি আসছো। পরীক্ষা নিলাম। তুমি ফেইল করছো। ডাবল জিরো পাইছো তুমি। তোমার ওপর তো নজর রাখা লাগবে। যাও আজকের টা মাফ করে দিলাম। সে তোমার বোন হোক আর জিএফ হোক তাতে কিছু আসে যায় না। তবে আজকের পর যেন আর না দেখি বা শুনি। এর পরেও এরকম করলে কি হবে জানোই তো।
.
এই বলে ও চলে গেল। সালার কপাল আমার। যারে পছন্দ করি সেও রাজি হইলো। আর কাহিনীও শুরু হয়ে গেল। এইডা কিছু হইলো!!!!
ক্লাস শেষ করে বাসায় যাচ্ছি, আবার রাইসা এসে হাজির।
.
- কোথায় যাও?
- বিয়ে করতে যাচ্ছি। যাবা? (মেজাজ টা পুরাই খারাপ ছিল)
- আজব। রাগ করার কি আছে?  আমি জিজ্ঞাসা করতে পারি না?
- দেখতেই পাচ্ছ কলেজ শেষ। আমি খুব টায়ার্ড। তাইলে কি এখন আমি ফুটবল খেলতে যাচ্ছি?
- যেখানে ইচ্ছা যাও। কথা হচ্ছে, আজ যদি আমাকে ইগ্নোর করার চেষ্টা করো তাহলে সোজা তোমার বাসায় চলে আসবো। আর তোমার কি অবস্থা করবো বুঝতেই পারছো। বাই
.
বাসায় গেলাম। অনেকক্ষন ভাবলাম। কি করা যায়। সব শেষে বুঝলাম, কিছু না হলেও ওর বিএফ হওয়ার অভিনয় টা করতেই হবে। তা না হলে রক্ষা নাই। এদিকে তিশাকে কল দেওয়ার সময় হয়ে এলো। দিলাম কল। প্রথম প্রথম। দুজনেই লজ্জা পাচ্ছি। তাও প্রথমদিন তো, তাই আর বেশি কথা বলা হয় নাই। দুইজন দুইজনের সম্পর্কে জেনে কল রেখে দিলাম।
.
তিশার সম্পর্কে যা যা জানলাম,
ও ক্লাস ৯ এ পরে
ওর একটা বড় বোন আছে খুব দজ্জাল। ভয়ংকর টাইপের মেয়ে ওর বোন। ওর বোনকে ও বাঘিনীর মত ভয় পায়। মাঝে মাঝে তিশার সন্দেহ হয় যে, ওর বোনের মাথায় সমস্যাই আছে নাকি। কখন যে কি করে তার ঠিক নাই। আর সে নাকি আমাদের ক্লাসেই পড়ে। আমার ডিপার্টমেন্টেই। নাম জুয়াইরিয়া। (যদিও এই নামে কাউকে আমি চিনি না)
প্রথমদিন হিসাবে, মোটামুটি এইগুলাই জানা হইছে।
.
.
তাতে ১০ মিনিটের মত কথা বলছি হয়তো। কল কেটেই দেখি এর মাঝে ৬ টা কল আসছিল। তাও আবার রাইসার। আবার কল আসলো। আমি রিসিভ করলাম,
- হ্যালো।
- কার সাথে কথা বলতেছিলা?
- আমার বউয়ের সাথে। তোমার কোন সমস্যা?
.
ও আর কোন প্রশ্ন করলো না। আমি জানি তো, এটা মেয়েদের জন্মগত ডিফেক্ট। যদি সহজে বলতাম, "আমার এক ফ্রেন্ড" (মানে পজেটিভ কিছু) তাহলেই সন্দেহ করতো। যেই নেগেটিভ কিছু বলছি তখনই ভাবছে যে, রেগে বলছি। মানে আসলে সন্দেহ করার কিছু নাই।  কি সুন্দর লজিক মেয়েদের।  (বুদ্ধিটা কিন্তু তাওহীদের) 😁😁
.
এরপর রাইসার সাথেও কিছুক্ষন কথা বলে কল কেটে দিলাম। বাকি রাত সাধারণভাবেই কাটলো।
পরেরদিন সকালে। আবারো প্রাইভেট শেষ করে তিশার সাথে কথা বলতে বলতে যাচ্ছি হঠাত দেখি সামনে রাইসা আমাদের দিকেই এগিয়ে আসছে!!!! একটু খেয়াল করলাম, তিশা যেন আমার থেকেও বেশি ভয় পাচ্ছে। কাহিনী কি?
.
রাইসা আমাদের ২ জনের সামনে এসে বলল, "এটা কে?"
আমি মাত্রই বলতে যাচ্ছিলাম, "আরে ও আমার সেই ছোট বোন।"
কিন্তু এর আগেই তিশা বলে উঠলো, "আপু আমি স্কুলে যাচ্ছিলাম, তাই টাইম জিজ্ঞাসা করছিলাম এই ভাইয়ার কাছে।"
আমি আকাশ থেকে পরলাম। আ-আ-আ-পু-উ-উ-উ। মানে, ২ বোনের সাথেই আমি!!!!!  একজনের জ্বালায় বাঁচি না। সাথের আরেকটা!!!! মনে মনে, আল্লাহর কাছে বলতেছিলাম, "আল্লাহ গো তুমি আমারে তুইলা নাও। আমি আর পারতেছিনা।"
এবার রাইসা আমার দিকে তাকালো, যদিও আমি এপার ওপার কিছুই মেলাতে পারছিলাম না। আমিও একই কথা বললাম।
এবার রাইসা আমাকে দেখিয়ে বলল, "শোন তিশা, দেখা যতক্ষন দেখা হয়েই গেল তাহলে পরিচয় করিয়েই দেই। এইটা তোর ভবিষ্যৎ দুলাভাই। মানে আমার বিএফ।"
 এটা শুনে তিশা আমার দিকে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। আমি একবার তিশার দিকে তাকাই আবার রাইসার দিকে তাকাই। আল্লাহই জানেন আমার কপালে এর থেকেও খারাপ কিছু আছে কিনা।
 এই এলাকার এস.পি-র ২ টা মেয়ে। আর এখন ২ টাই আমার জিএফ। আর ২ জনই আমার সামনে একসাথে। এর থেকেও খারাপ কিছু কি হয়?  😭😭😭😭😭
(চলবে)


 

Comments

Popular posts from this blog

একটি ছ্যাকা খাওয়ার গল্প

ব্রেকআপ অনু (পর্ব-১)